কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের ঢাল হবে উপসাগরীয় দেশগুলো

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র অনারব দেশ ইরান। দেশটির সঙ্গে এই অঞ্চলে থাকা অন্য রাষ্ট্রের ভাষা এমনকি সংস্কৃতিতেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। তাই আরব অধ্যুষিত অঞ্চলে বরাবরই একা ইরান। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত বোমা হামলার হুমকির মধ্যে ইরানের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলো। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীনভাবে একজোট হয়ে দিয়েছে ব্যতিক্রমী এক ঘোষণা।

চাপ আর হুমকি দিয়ে ইরানকে বশে আনতে চান ট্রাম্প। কিন্তু নতি স্বীকার করতে রাজি নয় তেহরান। এমতাবস্থায় ইরানে মার্কিন হামলা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি সমরাস্ত্র ও সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলো সব বিভেদ ভুলে এবার ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েত সকলেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের আকাশসীমা বা অঞ্চলগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে না তারা। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশগুলো। সেখানে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় কোনো দেশের বিমানঘাঁটি বা আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।

উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পাওয়া এই নিষেধাজ্ঞার কথা মিডল ইস্ট আইকে নিশ্চিত করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতার মধ্যে জ্বালানি ভরা এবং উদ্ধার অভিযানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো যুদ্ধের অংশ হতে চায় না।

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার টেবিলে তেহরানকে চাপে রাখতে ইয়েমেনে শক্তি প্রদর্শন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক এমন সময় উপসাগরীয় দেশগুলোর কঠোরতা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় ধাক্কা। যদি ইরান বুঝতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের তেল সমৃদ্ধ আরব মিত্ররা হামলার ব্যাপারে একমত নয়, তাহলে তাদের আলোচনার অবস্থান আরও শক্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযান চালাতে উপসাগরীয় দেশগুলোকে পাশে থাকার অনুরোধ করে আসছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, তবে ইরানে হামলার ক্ষেত্রে উপসাগরীয় দেশগুলো ভেটো দিলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হাসিল কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের ওপর হামলার ব্যাপারে উপসাগরীয় দেশগুলো বেশ সহনশীল তবে ইরানের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ত ঘটছে না।

ইয়েমেনে হামলার আগে গেল মার্চে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমিরাত ও সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, সেই বৈঠকেই ইয়েমেনে হামলার অনুমতি আদায় করে মার্কিনিরা। তবে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার আগে উপসাগরীয় দেশগুলোর ভিন্ন রূপ দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে মিলল অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

থানায় জিডি করলেন সালাউদ্দিন টুকু

সংস্কৃতির ভেতরেই রাজনীতির সৃজনশীলতা নিহিত : দুদু

সাইফের চোখ বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৪৮ রান

১০

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফর গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির বার্তা : প্রেস সচিব

১১

বিরক্ত মেহজাবীন চৌধুরী

১২

জামায়াত অন্তত ১৬০টি আসন পাবে : সাদ্দাম

১৩

‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

১৪

পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করে খোয়াব পূরণ হবে না : জাগপা

১৫

‘আসল শিবির হইলো আমার মা, বাড়ি এলেই জোর করে বোরকা পরায়’

১৬

উৎসবের আবহে উদযাপিত হলো টাইমস স্কয়ার দুর্গা উৎসব

১৭

অবশেষে মুখ খুললেন আরিয়ান খান

১৮

৮-৯ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নিয়ে কী বলছে মাউশি

১৯

গণভবন কখনোই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না : উপ প্রেস সচিব

২০
X