কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ০৮:০৫ এএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ০৮:২৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ
একযোগে বিমান হামলা

ইসরায়েলের টার্গেটে তিন দেশ

লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে একযোগে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। সোমবার রাতে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে চালানো এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের অবকাঠামো।

লেবানন

লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকা সংলগ্ন জান্তা শহরের উপকণ্ঠে ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একই অঞ্চলের শারা পাহাড়েও হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ লেবাননের স্রিফা গ্রাম ও টাইর হারফায় চারটি তৈরি কক্ষ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়।

সিরিয়া

সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার সরঘায়া শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়, যা লেবাননের পার্বত্য এলাকার ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত। এই সব হামলার টার্গেট ছিল হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

ইয়েমেন

একই রাতে ইয়েমেনের হোদেইদা প্রদেশেও বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের দাবি, হোদেইদা বন্দরের আশপাশে অন্তত ছয়টি বিমান হামলা এবং রাজধানী সানার নিকটে তিনটি হামলা হয়েছে। হুতি মিডিয়া এটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

ইসরায়েলি সূত্র জানায়, প্রায় ৩০টি যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয় এবং মূলত হোদেইদা বন্দরের সামরিক অবকাঠামো ছিল টার্গেট, যেখান থেকে হুতিরা রেড সি অঞ্চল ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে থাকে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার হুতিরা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেয়, যা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে পড়ে। ইসরায়েলি অ্যারো ও মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। হুতিরা এরপর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ আকাশ অবরোধ’ আরোপের হুমকি দেয়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ তেল আবিবে সামরিক কমান্ড সেন্টার থেকে পুরো অভিযানের তদারকি করেন। হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছিল। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সরাসরি সামরিক অংশগ্রহণ অস্বীকার করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১০

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

১১

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

১২

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

১৩

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

১৬

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১৮

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

২০
X