ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে তেলআবিব সফরে গিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার সফরের সময় ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। দেশটির দাবি, তাদের হামলায় গাজার এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজার শত শত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে রাফাত আবু হিলাল নামে এক সামরিক বিভাগের প্রধান নিহত হয়েছেন।
আইডিএফের দাবি, নিহত ওই ব্যক্তি গাজার পপুলার রেসিস্ট্যান্স কমিটির সামরিক বিভাগের প্রধান। এ দলটি গাজা উপত্যকায় তৃতীয় বৃহত্তম দল। এ ছাড়া আরও দুটি দল হলো হামাস ও ইসলামিক জিহাদ।
ইসরায়েলের দাবি, আইডিএফ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা সীমান্তে গোয়েন্দা সূত্র শীন বেতের বরাতে তথ্য পেয়ে হামলা চালায়। এতে ওই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হন।
এদিকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সময় ফোনে তারা গাজায় সামরিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স জোর দিয়ে বলেন, গাজায় বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করাকে হায়েনার মতো অপরাধ ও নৃশংস হামলা বলে বিবেচনা করে সৌদি আরব। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। এতে গাজার ২৩ লাখ মানুষের জীবন কঠিন এক নির্মমতার মুখে। একদিকে বোমা হামলা, অন্যদিকে চারপাশে নাই নাই অবস্থা।
এসব সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য শক্তিশালী উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, এই উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। কারণ, এতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এর আগে ইরান, তুরস্ক ও লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে একই বিষয়ে কথা বলেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। বুধবার তিনি জেদ্দায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন।
মন্তব্য করুন