ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সমানভাবে হামাসের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে ইসলামিক জিহাদ। দলটির কাছেও বন্দি রয়েছে ইসরায়েলিরা। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে নতুন শর্তের কথা জানিয়েছে দলটি। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় যে কয়েকটি সংগঠন প্রতিরোধের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারমধ্যে অন্যতম ইসলামিক জিহাদ। দলটির মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তিতে নতুন চার শর্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘোষিত চারটি শর্ত অগ্রাহ্য করলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে যাবে না ইসলামিক জিহাদ।
দলটির ঘোষিত শর্তগুলো হলো, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধান।
ইসলামিক জিহাদের মহাসচিব এক বিবৃতিতে জানান, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি যে, যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় এমন একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধানের নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেব না।
এর আগে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এমন কথা বলেন তিনি।
সোমবার কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তির আওতায় প্রথমে নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করবে।
তিনি বলেন, আমরা এই প্রস্তাবটি হামাসের কাছে পৌঁছে দিব। তাদের এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আশা করছি যেখানে তারা এ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ও গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, হামাস আলোচনায় যোগদানের পূর্বশর্ত হিসাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করেছিল। আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা সেই জায়গা থেকে এমন একটি জায়গায় চলে এসেছি যেটি সম্ভবত ভবিষ্যতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আলোচনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে যেখানে ছিলাম তার চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় আছি আমরা।
মন্তব্য করুন