কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় আবারও প্রশাসনে ফিরছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

বিধ্বস্ত স্থাপনার পাশে ইসরায়েলি সেনারা। ছবি : এএফপি
বিধ্বস্ত স্থাপনার পাশে ইসরায়েলি সেনারা। ছবি : এএফপি

গাজায় এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে বেশকিছু এলাকা থেকে নিজেদের সেনাদের ফিরিয়ে নিয়েছে দেশটি। এসব এলাকায় পুনরায় প্রশাসনে ফিরতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। শনিবার (০৩ জানুয়ারি) এপির বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিএনবিসি নিউজ।

স্থানীয় চার বাসিন্দা ও হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, হামাস আবার গাজায় সম্প্রতি পুলিশ মোতায়েন শুরু করেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও আংশিক বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে। ওই এলাকাটি থেকে প্রায় এক মাস আগে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

গত চার মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে এ উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে তারা পুরোপুরি নির্মূল ও তাদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত রাখবে। সম্প্রতি প্রশাসনে ফেরা এলাকাসহ গাজার পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী আবার হামলা শুরু করেছে।

গাজার চারজন বাসিন্দা এপিকে জানান, সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর ও গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আলশিফা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস এলাকায় সাদা পোশাকসহ ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় বেসামরিক লোকজনও অফিসে ফিরতে শুরু করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে সেখারে তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলে পুনরায় বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা ও পুলিশের প্রতি দোকান-বাড়িঘরে লুটপাত ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হামাসের নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব থেকে বাঁচতে যেসব মানুষ বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে গেছেন সেগুলোরও নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে।

সাইদ আবদেল বার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তার চাচাতো ভাই হামাসের একটি অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ২০০ ডলার বেতন পেয়েছেন। পুলিশ ও পৌরসভার কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে পালানোর সময় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পঞ্চগড়ে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

নামাজ শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সোহেল, ঘরে ঢুকে মাথায় গুলি

প্রতিদিন মদ খেলে মস্তিষ্কে যা ঘটে জানাচ্ছে গবেষণা

আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম : প্রধান উপদেষ্টা

জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহত

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি যেসব দল

কালবেলা পাঠকদের কাছে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে : টুকু

সাতক্ষীরার তিন কলেজে পাস করেনি কেউ

রুই মাছের ৮ পদ, আজই বানিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের রেসিপিটি

১০

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী / ‘দেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের পরিকল্পনা সবার কাছে পৌঁছে দেব’

১১

কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়

১২

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন যারা

১৩

ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন / ‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে কালবেলা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে’ 

১৪

কলেজে নেই শিক্ষক, ৮ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল

১৫

ফল খাওয়া নিয়ে ৫ ধারণা — বিজ্ঞান যা বলে

১৬

উইন্ডিজ সিরিজে কেমন হবে মিরপুরের উইকেট?

১৭

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

১৮

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যারা এলেন 

১৯

কীভাবে কাজ করবেন, জানালেন নবনির্বাচিত রাকসু ভিপি

২০
X