কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১০ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এবার ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

ইয়াসির আরাফাত। ছবি : সংগৃহীত
ইয়াসির আরাফাত। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামের সংস্থা পিএলওর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইয়াসির আরাফাতের গাজা উপত্যকার বাড়িটি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ওই বাড়ি ধ্বংসের খবর নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের সংস্কৃতিমন্ত্রী আতিফ আবু সাঈফ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞের অংশ হিসেবে দখলদার সেনারা প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন বা পিএলওর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি ধ্বংস করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা এবং সংগ্রামের প্রতীক মুছে ফেলার লক্ষ্যেই বাড়িটি ধ্বংস করেছে ইসরায়েল।

ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িটিতে আরাফাত ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বসবাস করেছেন। সেখানে আরাফাতের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জিনিসপত্র রয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সূচনাকালে গাজায় তার উপস্থিতির সময় এই বাড়ি ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে আছে। আবু সাঈফ জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বর্বরতার নতুন প্রমাণ।

ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের মহান নেতা ইয়াসির আরাফাতের জন্ম ১৯২৯ সালে মিসরের কায়রোতে। কায়রোর ইউনিভার্সিটি অব কিং ফুয়াদ ওয়ানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন ১৯৪৪ সালে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করলে তিনি অন্য ছাত্রদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেন। আজীবন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন লালন করে যাওয়া ইয়াসির আরাফাত সংগ্রাম করেছেন অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে। নির্বাসিত জীবনের গ্লানি সহ্য করেছেন, এক দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য দেশে। কখনো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে, আবার কখনো আলোচনার টেবিলে বসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছেন বারবার। জীবনের শেষ দিনগুলোতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাকে গৃহবন্দি করে রাখে। গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাকসু নির্বাচন : ৬ দাবি ছাত্রদলের

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

১০

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

১১

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

১২

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

১৩

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

১৪

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

১৫

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১৬

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৭

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১৮

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৯

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

২০
X