ইউক্রেনের খাদ্যশস্য ও কৃষ্ণ সাগর নিয়ে রাশিয়াকে ‘ব্লাকমেইল’ বন্ধ করতে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ‘অযৌক্তিক যুদ্ধের’ কারণে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষকে মূল্য দিতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এ আহ্বান জানান। খবর আলজাজিরার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়ার শস্যচুক্তি বাতিলের সামলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় দেশটি ব্লাকমেইল বন্ধের আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য বলেন, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
আবও পড়ুন : রাশিয়ার খাদ্যচুক্তি বাতিলের প্রভাব পড়ছে এশিয়ায়
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন, বিশ্বের বিপর্যস্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষের প্রতি রাশিয়া ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা এখনো ইউক্রেনের শস্যক্ষেতে বোমা হামলা করছে, বন্দরের প্রবেশপথে মাইন রেখে দিয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগরে শস্যবাহী জাহাজকে হুমকি দিচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, এই কাউন্সিলে ও জাতিসংঘের সব সদস্যের বলা উচিত যে অনেক হয়েছে আর না। কৃষ্ণ সাগরকে ব্যবহার করে রাশিয়ার ‘ব্লাকমেইল’ অনেক হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া শস্যচুক্তিতে ফিরতে যা যা দরকার তার সবটা করবে। তবে রাশিয়াকে শস্যচুক্তিতে ফিরতে হবে।
কৃষ্ণ সাগরে মস্কোর শস্যচুক্তি বাতিলের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এ চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য রপ্তানি করে ইউক্রেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে বছরব্যাপী শস্য রপ্তানির চুক্তি হয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই থেকে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি তাদের সার ও খাদ্য রপ্তানি বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ করিডোরে শস্য রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমা বিশ্বের দেওয়া শস্য ও সার রপ্তানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিলেই করিডোর পুনরায় চালু করা হবে।
অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সহযোগিতা করুক আর না-ই করুক তারা বিশ্বে শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাবে। কেননা বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলার একক অধিকার কারও নেই। জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ বিশ্ব খাদ্য পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
মন্তব্য করুন