মহসীন হাবিব
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ এএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন: পাক-আফগানদের গল্প

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন: পাক-আফগানদের গল্প

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন লেখাপড়া শিখতে গিয়ে নিজ খেয়ালেই কবরস্থান থেকে হাড়মাংস জোগাড় করে ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলে এক দৈত্যাকৃতির মানুষ। অস্বাভাবিক চেহারা ও ভীতিকর দর্শনের কারণে ভীষণ অসন্তোষ সৃষ্টি হয় দৈত্যের মধ্যে। সেই দৈত্য কিন্তু সবসময়ই স্বীকার করেছে যে, ফ্রাঙ্কেনস্টাইনই তার সৃষ্টিকারী (ক্রিয়েটর, গড), তাকে জীবনদান করেছে। কিন্তু অসন্তোষগুলো তার চোখের সামনে বড় করে ধরা দেওয়ায় সে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। সেই ক্ষোভ থেকে একে একে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের ভাই, পিতা, বন্ধু ও নববিবাহিতা স্ত্রীকে মেরে ফেলে। অবশেষে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকেও জীবন দিতে হয়। একপর্যায়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন ওয়ালটনের কাছে দৈত্যাকৃতির মানুষটি ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্ন রাখে, ‘প্রকৃত মনস্টার কে? আজ আমি যা করছি তা ফ্রাঙ্কেনস্টাইনেরই সৃষ্টি। সে আমাকে দিয়েছে এক বন্ধুহীন, ভালোবাসাহীন জীবন। যে জীবন দিয়েছে তা উন্মাদের জীবন!’ এখন থেকে ২০৫ বছর আগে মেরি শেলির গোথিক রীতির উপন্যাস ফ্রাঙ্কেনস্টাইন যেন হুবহু বর্তমান পাকিস্তান, আফগানিস্তানের ঘটনাবলিরই রূপক কাহিনি। যে পাকিস্তানের হাতে গড়ে উঠেছিল আফগান তালেবানগোষ্ঠী, সেই পাকিস্তানের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগান তালেবানরা। এখন পাকিস্তানের নিরাপত্তা হুমকির অন্য কেউ নয়, খোদ আফগান তালেবান সরকার। ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের ভূমিকায় প্রথম অবতীর্ণ হয়েছিলেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক জিয়াউল হক। তবে খেয়ালের বশবর্তী হয়ে নয়, অত্যন্ত সূক্ষ্ণ হিসাব-নিকাশের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্ক্সিস্ট সরকারের সমর্থনে আফগানিস্তান প্রবেশ করলে দুর্গম দেশটির ধর্মীয় দলগুলো সশস্ত্র সংঘাত শুরু করে, যারা মুজাহিদীন বলে পরিচিত ছিল। পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানের ছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক। জিয়া এ সুযোগটি গ্রহণ করেন। তিনি এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চেয়েছিলেন এবং বলা যায় মেরেছিলেনও। প্রথমত তিনি ধারণা করেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় আফগানরা বালুচিস্তান দখল করে নিতে পারে, যে ভয় এখন আবার জেঁকে বসেছে। দ্বিতীয়ত তিনি সামরিক শাসক হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে খুশি রাখার প্রয়োজন ছিল, তৃতীয়ত একটি বিরাট অঙ্কের অর্থ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য আফগান যুদ্ধের নামে আয় করার সুযোগ দেখেছিলেন। আরও একটি বিষয় ঘটেছিল। ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে সৌদি আরবের কাবা শরিফে একদল রাজতন্ত্রবিরোধী সশস্ত্র লোক ঢুকে পড়ে। চারদিকে গুজব ছড়িয়ে যায় যে, মক্কা শরিফে আমেরিকান সৈন্যরা ঢুকে পড়েছে ওই ঘটনার অবসান ঘটাতে। পাকিস্তানে শুরু হয় আমেরিকাবিরোধী বিক্ষোভ এবং ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আগুন দেওয়া হয়। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম পর্যায়ে পৌঁছে। ঠিক ডিসেম্বরেই সোভিয়েতরা আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের তখন বড় মাথাব্যথা কমিউনিস্ট সম্প্রসারণ। পাকিস্তানের সঙ্গে তখন সখ্যের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মরিয়া হয়ে সাহায্যের হাত বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রও। এ সুযোগটিও গ্রহণ করেন জিয়া। তিনি আইএসআই প্রধান জেনারেল আখতার আবদুর রহমান খানকে সৌদি আরব পাঠান সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগান মুজাহিদদের সহায়তার জন্য। শুরু হয় ডলার ও আধুনিকতম অস্ত্র সরবরাহ। এদিকে পাকিস্তানি জেনারেলরা ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকেন আফগান রক্তের মূল্যে, যাকে ব্লাডমানি বলা যায়। (আইএসআই ডিজি জেনারেল আখতার আবদুর রহমানের তিন ছেলের নামে ১৯৮৫ সালে সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয় এবং কোটি কোটি ডলার সেই ব্যাংকে জমা হয়, যা ২০২২ সালে প্রকাশ পেয়ে যায়। পাকিস্তানের জেনারেলরা বিশ্বের মোনাকো, দুবাইসহ বিশ্বের অত্যন্ত দামি এলাকায় যে নিজেদের বাড়ি তৈরি করেন, তা সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্লেন ভরে পাঠানো ডলারে। সে কথাও কিন্তু আফগানরা ভুলে যায়নি)। তখন থেকেই আফগানিস্তানের বড় ভাইয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় পাকিস্তান। শত শত মাদ্রাসার নামে জঙ্গি উৎপাদনে কারখানা তৈরি করা হয়। এসব পুরোনো কথা, নতুন করে বলার কিছু নেই। তারপরও স্মরণ করা দরকার। সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর আফগানিস্তানে দেখা দেয় ওয়ার লর্ডদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ। পাকিস্তান সেই গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে কট্টরপন্থি গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারকে সমর্থন দিয়ে আফগানিস্তানের আগুন আরও তীব্র করে তোলে। তখন আফগানিস্তানে যত ফ্যাকশন ছিল, সবগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ ও লড়াই থাকলেও প্রায় সব ঘাঁটি ছিল পাকিস্তানে। বহু তালেবান নেতাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর কাছ থেকে রক্ষা করেছিল বটে, কিন্তু আফগানিস্তানে শান্তি পাকিস্তান কখনোই চায়নি। আজ তার খেসারত হাড়ে হাড়ে দিতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান বলতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকেই বোঝাচ্ছি। কারণ দেশটি জন্মের পর থেকেই কখনো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল না। বেসামরিক রাজনীতিবিদ তথা জনগণের সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য সেখানে পূর্বেও ছিল না, আজও নেই। ২০ বছর আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট তালেবানদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ার কয়েক দিন পর, অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদ কাবুলে অবতরণ করেন। সাংবাদিকরা তাকে পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কেতাবি হাসি দিয়ে বলেছিলেন, ‘চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি। বরং উত্তরোত্তর পাকিস্তানের নিরাপত্তা ঘাঁটিগুলোতে আফগান ইনসার্জেন্টরা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে। পাকিস্তান আশা করেছিল, তেহরিক-ই-তালেবানই পাকিস্তান বা টিটিপিকে আফগান তালেবানদের সহায়তায় দমন করা যাবে। যদিও তালেবানরা তেহরিক-ই-তালেবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সমঝোতায় মধ্যস্থতা করেছে, কিন্তু তেহরিক-ই-তালেবান নেতা ওমর খালিদকে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা হত্যা করার পর সে প্রচেষ্টাও ভেস্তে যায়। এটাও বুঝতে হবে যে, আফগান তালেবানদের সম্পূর্ণ সহমর্মিতা আছে টিটিপির প্রতি। পাকিস্তানও সেটা জানে। টিটিপির ওপর পাকিস্তান কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করলেই সীমান্তে আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ নিশ্চিত হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের ধারণা ছিল, যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়া পর তালেবানরা আবার পাকিস্তানের অভিভাবকত্বে তাদের পুরাতন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। ধারণা করেছিল, ইসলামিক স্টেট খোরাসানের বালুচিস্তানে তৎপরতা বন্ধ করা যাবে এবং তালেবানদের সহায়তায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে অপারেশন অব্যাহত রাখা যাবে। কিন্তু বর্তমান তালেবানদের দিয়ে তা হচ্ছে না। আফগানিস্তানে তালেবান একটি আনুষ্ঠানিক সংগঠন। কিন্তু আফগানদের জাতিসত্তা অত্যন্ত তীব্র। পশতুনরা অত্যন্ত শক্তিশালী, যারা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান উভয় দেশের ভূখণ্ডেই রয়েছে। এখন এ পশতুন তালেবানরা অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধের পর করা ডুরান্ড লাইন চুক্তি মানছে না। তারা বলছে, ১৮৯৩ সালে করা চুক্তিটি ছিল ১০০ বছরের। এখন ১০০ বছর পার হয়ে গেছে, সুতরাং ডুরান্ড লাইনের আর কোনো ভিত্তি নেই। দেখো কাণ্ড! এখন? তারা এখন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং উত্তর বালুচিস্তান নিয়ে পশুতুনিস্তান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। কেউবা কোনো জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র চাইলে তো আর অন্যায় বলা যাবে না। এ বিষয়টি যে পাকিস্তানের মাথায় ছিল না। পরে তালেবানদের সঙ্গে নানারকম মতবিরোধ সংঘর্ষ শুরু হলে পাকিস্তান সতর্ক হয়ে ওঠে। পাকিস্তান ২০১৭ সালে আফগান সীমান্ত কাঁটাতারে বেড়া দিতে শুরু করে। তারা মুখে বলে, মাদক পাচার, সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে এ বেড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে পাকিস্তান তার বর্তমান সীমানা নিশ্চিত করতেই এ বেড়া দিয়েছে। হলে কী হবে, দুর্গম ওই অঞ্চলে আফগান সশস্ত্র যোদ্ধারা পাকিস্তানে ঢুকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আবার প্রয়োজনে পিছু হটে আফগানিস্তানের ভেতরে চলে যাচ্ছে। আজ দুই-তিন বছর ধরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাথা খারাপ করে ফেলেছে এ যোদ্ধারা। অন্যদিকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি একের পর এক পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় ও সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মনে হয় নিজের জীবন বিসর্জনের পালা। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ওপর আমার মায়া হয়। অসম্ভব কষ্টে আছে তারা। এক লিটার ডিজেলের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ পাকিস্তানি রুপি। স্থবির হয়ে গেছে মানুষের জীবন। কিন্তু পাকিস্তানের শাসক তথা সেনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার সামান্যতম বোধোদয় ঘটেনি। তারা মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে ভারতের কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঢুকিয়ে হামলা চালাতে চেষ্টা করছে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—তিন মাসে কয়েক দফা মিলিট্যান্টদের হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসার ও সদস্য এবং পুলিশ নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লস্কর-ই-তৈয়বা সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তবে যতই পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চেষ্টা করুক না কেন, তাদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগান যোদ্ধারা, যারা পাকিস্তানের ল্যাবরেটরি টেবিল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মনস্টার বা দৈত্যের আকার ধারণ করেছে। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তানকেই বলছে, ‘I tried reasoning with you, Frankenstein, but hear me now. Remember, I have power. You think you’re unhappy now? You have no idea what I can do. I will make you curse the day you were born.’

লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝড়ের সঙ্গে সতর্ক সংকেত জারি

ডো‌নাল্ড লুর সফরে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেঙ্গু রোগীর বাড়িসহ আশপাশে সচেতনতা জোরদারের তাগিদ মেয়র আতিকুলের

নিপুন সমর্থিত শিল্পীদের মিশা-ডিপজলকে সংবর্ধনা

বাড়াবাড়ি করবেন না, বিদায় করে দেব, এমপিকে কাউন্সিলরের হুমকি

ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ঘরে বসে নিশ্চিন্তে কোরবানি হবে বেঙ্গল মিটে

দুবাইয়ে বিদেশিদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

বিএনপির আরও ৪ নেতা বহিষ্কার

তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী

১০

নবীনদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

১১

এলসভিয়ার থেকে ফ্রি ই-বুকের সুবিধা পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১২

ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ শনিবারেও খোলা থাকবে

১৩

লু’র কথার পরে ফখরুলের বক্তব্যের আর কোনো মূল্য নেই : কাদের

১৪

রাসেল ভাইপার আতঙ্কে মিলছে না ধানকাটার শ্রমিক!

১৫

জেলায় জেলায় ডাকাতি করাই তাদের নেশা

১৬

প্রমাণ হলো এসএমসি প্লাস অনুমোদনহীন, কর্ণধারকে জরিমানা

১৭

উন্নয়ন প্রকল্পে মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

১৮

নিপুন অসুস্থ, তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানো জরুরি : জায়েদ খান

১৯

বিমানবন্দরের সামনে মাইক্রোবাসে আগুন

২০
X