সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও বাবা করিম উদ্দিন আহমেদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কাছে তিনজনের নামে বকেয়া ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধ করা হয়। তবে মন্ত্রীর ভাই শামসুজ্জামান আহমেদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি এ ব্যাপারে নেসকোর পক্ষ থেকে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
দুদিন ধরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও তার পরিবারের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। গত বৃহস্পতিবার ‘৩৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল তাও শোধ করেন না মন্ত্রী!’ শিরোনামে প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপর ওইদিন রাতেই মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র ও মন্ত্রীর প্রয়াত পিতার নামে নেসকোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধ করা হয়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাজারের আল আমিন টেলিকমের স্বত্বাধিকারী আল আমিন হোসেন বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আবাসিক ও সেচ মিটারের বিপরীতে নেসকোর বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার ৯৬৪ টাকা। তার ছেলে রাকিবুজ্জামানের নামে থাকা মিটারের বিপরীতে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বকেয়া ছিল ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং মন্ত্রীর বাবা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদের নামে চালু থাকা মিটারটির বিপরীতে মোট বকেয়া বিল ছিল ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা।
সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে মন্ত্রীর সৎভাই শামসুজ্জামান আহমেদের নামে। তার নামে থাকা মিটারটির বিপরীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের আগের কয়েক মাসসহ মোট বকেয়া ছিল ৫৯ হাজার ৭০৬ টাকা। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ১৩৩ টাকা। তার নামে নেসকোর আরেকটি মিটার আছে। সেচ সংযোগের জন্য নেওয়া ওই মিটারের বিপরীতে বকেয়া বিলের পরিমাণ ১ লাখ ৫ হাজার ১১ টাকা। বিল না পেয়ে মিটারটির সংযোগ অস্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা আছে। কিন্তু বকেয়া আদায় হয়নি। শামসুজ্জামানের নামে দুটি মিটারের বিপরীতে ৭ লাখ ২৫ হাজার ১৪৪ টাকা বকেয়া রয়েছে। এখনো সেই বিল পরিশোধ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন