সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখার আয়োজনে শিল্পকলায় শুরু হলো দুইদিনের শচীন দেব বর্মন সংগীত উৎসব। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় ভক্তনাট্যশালার মূল মিলনায়তনে দুইদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাহ আলম সারওয়ার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতির ধারাকে ধরে রাখতে হলে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ধরে রাখতে হবে। কারণ চারদলীয় জোট এবং স্বৈারাচর আমলে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তারা সেসময় ওয়াজ মাহফিল শুরু করে দিত। শচীন দেব বর্মনের জন্ম হয়েছিল কুমিল্লাতে, ত্রিপুরার রাজবংশের সন্তান ছিলেন তিনি। আজও তার গান সুরের মায়ায় আমাদের দুলিয়ে দেয়। কেবল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নয়, গীতিকার সুরকার হিসেবেও স্বার্থক তিনি।
শাহ আলম সারওয়ার বলেন, সংস্কৃতি মানুষের মননকে নির্মাণ ও মনকে পরিশুদ্ধ করে। সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জীবন প্রাচুর্যময় হয়।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ সচীন দেব বর্মন আমাদের আত্মার আত্মীয় ছিলেন। তিনি রাজ পরিবারের জৌলুশ ত্যাগ করে সঙ্গীতের জীবন বেছে নিয়েছিলেন।
আলোচনা পর্ব শেষে আয়োজক সংস্থা দলীয়ভাবে পরিবেশন করে ‘দূর কোন পরবাসে’। এককভাবে চন্দনা মজুমদার পরিবেশন করেন ‘কে যাসরে ভাটির, রঙিলা রঙিলা রঙ্গিলারে, ও ভোমরা’, মামুন জাহিদ খান পরিবেশন করেন, ‘তুমি আর নেই সেই তুমি’ ‘কাঁদিবোনা ফাগুন গেলে’ ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে’, সন্দীপন গেয়ে শোনান ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’ ‘শোনো গো দখিনা হাওয়া’, ডা. মাহজাবিন শাওলী পরিবেশন করেন ‘তুমি এসেছিলে পরশু’, আবিদা রহমান সেতু শোনান ‘এই চৈতী সন্ধ্যায় তুমি যেও না’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। স্বাগত বক্তব্য দেন বহ্নিশিখা’র সম্পাদক সঙ্গীত পরিচালক আবিদা রহমান সেতু। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শেষ হবে দুইদিনের এই সংগীত উৎসব।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন এবারের উৎসবে।
মন্তব্য করুন