কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০ এএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

গ্রাফিক্স : কালবেলা।
গ্রাফিক্স : কালবেলা।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

মূলত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, একসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতেন অনেকেই। এখন তার ব্যতিক্রম ঘটছে। মেধাবীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার।

এ ছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েক কর্মকর্তা বলেন, অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ।

এ ছাড়াও সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শাপলাই হবে এনসিপির নির্বাচনী মার্কা : হাসনাত

সন্দ্বীপে ৭ প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

খাট-বেগুন দিতে চায় ইসি, শাপলায় অনড় এনসিপি

৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাড়বে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

টি-টেন লিগে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার সতীর্থ হিসেবে যাদের পাবেন

আরেকটি এক-এগারো ছাড়া বাংলাদেশে আ.লীগের ফেরার সুযোগ নেই : রাশেদ

আগুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্র : এনসিপি নেতা

খোলা মাঠে বিমানের জরুরি অবতরণ

১০

আমাদের ডিভোর্স হয়নি,অভিমান করেছিলাম: মাহি

১১

ইসির রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নেই : হাসনাত

১২

দুপুরে না খেলে যা হয়

১৩

ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়

১৪

সহজ ৩ টিপসে আইফোনের চার্জ থাকবে দীর্ঘসময়

১৫

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

১৬

ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত যুবকের দেহ

১৭

রেকর্ড গড়ে গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি

১৮

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

১৯

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য : কবি আবদুল হাই

২০
X