দেশের বিদেশি মুদ্রা অর্জন হয় রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে। ডলার সংকটে কাটাতে সরকার অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার আমানতের মাধ্যমে নতুন আয়ের উৎস তৈরি করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য অবসর ব্যাংকিং ইউনিটে আমাদনকারীদের হিসেবের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক অব্যহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপনের সময় এ পদক্ষেপের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অফসোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ (২০২৪ সালের ০২ নং আইন) এর অধীনে পরিচালিত অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এর আওতাধীন আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাগণের হিসাবের ওপর আরোপনীয় সমুদয় আবগারি শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করছি।
এই পদক্ষেপ ডলার সরবারহে কতটা কার্যকর হবে তা জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কালবেলাকে বলেন, অবসর ব্যাংকিংয়ে ডলার জমার বিষয়টি খুব বেশি দিনের নয়। এ কারণে এটি এখনো জনপ্রিয় হয়নি। যদিও এটা অনেক দিন থেকে চালু ছিলো। কিন্তু এটার সুদের হারটি খুব বেশি ছিল না। আবার তার ওপর থেকে বিভিন্ন চার্জ কেটে তা খুব একটা লাভজনক ছিলো না। এ কারণে প্রবাসীরা এখানে ডলার জমা রাখতে আগ্রহীও হয়নি। যেহেতু ডলারের সংকটের সময় এখন সেহেতু অবসর ব্যাংকিংয়ে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো দিক।
মন্তব্য করুন