পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় ডিআইটি প্লটের শত বছরের পুরোনো পুকুর উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে পুকুর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। অভিযানে পুকুর পাড় ঘিরে থাকা অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ ও অবৈধভাবে নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোন ৭/১ এর অথরাইজড অফিসার এস এম এহসানুল ইমাম, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক তোহা প্রমুখ।
অভিযানে ডিআইটি পুকুর পাড়ের জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানপাটসহ পুকুর ঘিরে প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয় রাজউক। রাজউকের অভিযান চলাকালীন এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ অভিযানকে স্বাগত জানান এবং রাজউকের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে পুকুর পারে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেওয়ারও দাবি জানান এলাকাবাসী।
তাদের ভাষ্য, ঐতিহ্যবাহী এ পুকুর সংরক্ষণে রাজউক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দখলদারদের সঙ্গে যেন রাজউক কোনো আপস না করে, সেজন্য কর্মকর্তাদের অনুরোধও করেন তারা।
অভিযানকালে পুকুর পাড়ে গড়ে ওঠা একটি পীরের মাজার, ফ্যামেলি টাইমস রেস্টুরেন্টসহ, পাকা, আধাপাকা, দুই তলা ভবনসহ অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই জায়গা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। এরপরও রাজউক অভিযান চালিয়ে তাদের ক্ষতি করেছে। এজন্য তারা আদালতের দারস্থ হবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজউকের জোন ৭/১ এর সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক তোহা বলেন, জায়গার মালিকানা নিয়ে মামলা আছে। সেটা আমরাও জানি। তবে রাজউক এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ করলে অনুমতি নিতে হয়। অভিযানে যেসব স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে এর কোনোটাই অনুমোদন নেয়নি। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, মানুষ খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সমর্থন দিয়েছে। এলাকাবাসী এই জায়গাটাকে জঞ্জালমুক্ত দেখতে চায়। মানুষের চাওয়া পূরণ আইন অনুযায়ী আমরা অভিযান চালিয়েছি।
মন্তব্য করুন