কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুলেছে ফার্মগেটের নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ

রাজধানীর ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
রাজধানীর ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

দেড় বছর পর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এই ওভারব্রিজ। দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পথচারীদের চলাচলের জন্য স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বা এস্কেলেটরের দাবি তুলেছেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারীরা। সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি হকারদের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা।

আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তারা বলেন, গত বছর মে মাসে ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি ১৩২ ফুট লম্বা ও প্রায় ১৮ ফিট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের চিত্র উপভোগ করতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে।

ফুটওভার ব্যবহারকারী এক পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রশস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে আধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।

জুয়েল নামের আরেক পথচারী বলেন, ফার্মগেট একটি ব্যস্ততম এলাকা। এই ফুটওভার ব্রিজটি বহু মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতেও ছিলেন পথচারীরা। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগলেও বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

ব্রিজটি নির্মাণে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হলেও পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ এরও সুবিধা রাখা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ, কড়া বার্তা ভারতের

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক নেতা বহিষ্কার 

সব ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকার প্রয়াস তারেক রহমানের

মা দিবসে সব মায়েদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে কুচক্রী মহল: আবু নাসের

সাবেক রাষ্ট্রপতি পালিয়েছে, ব্যর্থতা অন্তবর্তী সরকারের : আমিনুল হক 

সরকারের পদক্ষেপ ইতিবাচক, সবাইকে ঘরে ফেরার আহ্বান হাসনাতের 

চট্টগ্রামের ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রেপ্তার

বৃষ্টির সুখবর, হতে পারে কালবৈশাখীও

জামায়াতে আমিরের সঙ্গে ‘জুলাই ২৪’ শহীদ পরিবার সোসাইটির মতবিনিময়

১০

বিএনপির কাছে সবার আগে বাংলাদেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব: মুন্না

১১

আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন ইআবির ভিসি 

১২

গণহত্যাকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে : আসিফ মাহমুদ

১৩

উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে হাসনাতরা

১৪

আ.লীগের বিচার ত্বরান্বিত করুন : জামায়াতে আমির

১৫

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন: নয়ন

১৬

রাজপথেই রয়েছেন আন্দোলনকারীরা

১৭

জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া ঘরে না ফেরার সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের 

১৮

তিন দফার একটি বাকি থাকতেও রাস্তা ছাড়বো না : হাসনাত

১৯

তারেক রহমানের মা ও শাশুড়ির আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল

২০
X