তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে চলতি অর্থ বছরেই পদ্মা সেতুর মতো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরের পীরগাছায় তিস্তার তীরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী বোল্ডারের মাথায় ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের’ আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ দিন ওই সংগঠনের আয়োজনে পীরগাছা, কাউনিয়া, গংগাচড়া, উলিপুর, ডিমলাসহ একযোগে তিস্তা অববাহিকার ১১০টি পয়েন্টে একই কর্মসূচি পালিত হয়।
পীরগাছার কর্মসূচিতে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী তার বক্তব্যে বলেন, দেশের অন্য অংশে ৪ লাখ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে কোনো মেগা প্রকল্প নেই। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে তিস্তা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করবেন। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ শুরুর ঘোষণা দেবেন। এই দাবি এই অঞ্চলের ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবকা বাঁচানোর প্রকল্প। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। তা করা না হলে রাজপথ, নৌপথ রেলপথ অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন বলেন, এ উপজেলার শিবদেব চর, জুয়ানের চর, কান্দিনার চর, গাবুড়ার চর, রহমতচর এই ৫টি এলাকা তিস্তা অববাহিকার মধ্যে পড়েছে। কিছুদিন আগে চরগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এখন পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এ চরের জনগণ সব নৌকার ভোটার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি আপনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পীরগাছা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইশরাত জাহান সুইটিসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় ভুক্তভোগী হাজারো মানুষ ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে বক্তব্যের পাশাপাশি গণসঙ্গীত, কবিতা, নাটকসহ বিভিন্নভাবে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়।
মন্তব্য করুন