আবারও চিরচেনা রূপে হাঁকডাকে মুখরিত দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ইলিশের ঘাট চাঁদপুরের বড়স্টেশনের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। নিজ জেলার পাশাপাশি আশপাশের জেলা থেকেও এ ঘাটে আসতে শুরু করেছে মণে মণে ইলিশ। আকারভেদে ইলিশের দাম কম থাকায় ঘাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
জেলে কাদির বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় ইলিশ জালে তুলনামূলক বেশি ধরা পড়ছে। মেঘনা ও পদ্মায় এবার চাঁদপুরের বড় সাইজের ইলিশও পাচ্ছি বেশি। এভাবে আরও কিছুদিন বৃষ্টি হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
এদিকে আকারভেদে ইলিশ দেখতে মোকমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই বাজারে জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ঘাটের বেপারিরা। এতে ক্রেতা সামাল দিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে সরবরাহ কম থাকার প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে।
জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ইলিশের ভরা মৌসুম। সাগরের ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় চাঁদপুর মাছঘাটে ট্রলারে আসা ইলিশে অনেকটা চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউ না থাকায় ইলিশের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ক্রেতাও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে সব ইলিশই কেজিতে ২০০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। এ ছাড়া এক কেজি ওজন ও এর চাইতে বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ কেজিতে ৩০০ টাকা কম দামেও বিক্রি হচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ থেকে ইলিশ ক্রয় করতে আসা বিল্লাল বলেন, ইলিশ ঘাটে ইলিশের দাম কম পাব তার ওপর কোনটা চাঁদপুরের আর কোনটা হাতিয়া, সন্দ্বীপের সেটা বুঝে কিনতে পারব তাই এখানে এসেছি। আশা করি বড় সাইজের ১০-১২টা ইলিশ কিনব।
অনলাইনে ইলিশ বিক্রেতা বিপ্লব বলেন, অনেকেই এতদিন অফলাইনে ইলিশ কিনছিল। তবে ইন্টারনেট আসায় এখন অনলাইনেও পুরোদমে ইলিশ বিক্রি বেড়েছে।
চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে ইলিশ বেশি পাওয়ায় ঘাটেও আমদানি বেড়েছে। গত কয়দিনে দিনে গড়ে ২০০-৩০০ মণ ইলিশ বিক্রি হলেও বর্তমানে দিনে ৮০০ থেকে হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এখন ইলিশের মৌসুম। তাই হয়তো সামনের কয়েকদিনে দিনে আড়াই থেকে ৩ হাজার মণ ইলিশও বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন