ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নাশকতাকারীর পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ থেকে ১৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মী হতবাক হয়েছেন।
নাশকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কীভাবে তারা পাল্টা নাশকতা মামলায় আসামি হলেন? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কি তাহলে ছাত্রদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন? পুলিশের মামলায় অন্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করায় এমন প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকের দাবি, ভাঙ্গায় শক্তিশালী দুটি পক্ষ রয়েছে, রেষারেষির জন্যই এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনায় আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোমল দাস জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মাতুব্বরের বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশেই।
তিনি দলের কার্যক্রমের বিপক্ষে যাননি। তিনি বিক্ষোভের শব্দ শুনে সড়কে গিয়েছিলেন ঠেকাতে। অনেক চেষ্টা করেছেন তার লোকজন নিয়ে। কিন্তু আরেকটি প্রতিপক্ষ ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্টো বুঝিয়ে আমাদের ১০ থেকে ১৫ নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।
বিষয়টি আমরা উপজেলা ও জেলা নেতাদের অবহিত করেছি। এ বিষয়টি তারাই ব্যবস্থা নিয়ে জামিন করাবেন? নাকি অন্য পন্থা নেবেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে জানান, মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেলোয়ার মাতুব্বর। পুলিশ একজন লোককেও অহেতুক আসামি করেনি। এ পর্যন্ত ওই মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের শুয়াদি নামক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ করা হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ-ছয়জন পুলিশ ও এক সাংবাদিক আহত হন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক কবির হোসেন বাদী হয়ে ৪৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।