বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচিতে গাজীপুরে পুলিশ বক্স ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কালিয়াকৈর থানায় হামলা চালানো হয়েছে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালিয়ে কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা কালিয়াকৈর থানায় হামলার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুরের পর আন্দোলনকারীরা জয়দেবপুরের রাজবাড়ি সড়ক এলাকার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়-ডাকবাংলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় একই সময়ে গাজীপুর সড়ক ভবনে ফের হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া শ্রীপুরের মাওনা হাইওয়ের সামনে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আতঙ্কে কারখানা ছুটি : শিল্প পুলিশ ও পোশাক কারখানা সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেও লোকসান এড়াতে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রাখেন মালিকরা। সকাল থেকে এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করেন শ্রমিকরা। তবে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সহিংস আন্দোলনের পর দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার অন্তত ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৩টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও জেলার অনেক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
চন্দ্রা এলাকায় স্থানীয় পোশাক কারখানার কয়েকজন মালিক বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় দুপুর ১২টার দিকে তারা কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, সকাল থেকে গাজীপুরে বেশির ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা। নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
এদিকে, এক দফা দাবিতে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করে রেখেছেন। এতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল।
মন্তব্য করুন