টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসপাতালে এসে গাছের নিচে প্রার্থনা করেন রোগীরা

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে বিশাল আকৃতির বটগাছ। ছবি : কালবেলা
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে বিশাল আকৃতির বটগাছ। ছবি : কালবেলা

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে বিশাল বটগাছটি অনেকের কাছে এক তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। অনেকে এই বটগাছকে মাজার হিসেবে ভক্তি শ্রদ্ধা করছেন। অসুস্থ রোগীরা মাজারে মোমবাতি জ্বালিয়ে সুস্থতা প্রার্থনা করছেন। আর এই দৃশ্য যেন প্রতিদিনের নিয়মে পরিণত হয়েছে।

হাসপাতালের মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ করার পর নতুন ভবনের মাঝেই বিশাল আকৃতির বটগাছ। বটগাছের চারপাশে ইট দিয়ে বাঁধাই করা। কয়েকটি রঙিন কাপড়ের পতাকা টাঙানো রয়েছে। বটগাছের শিকড়ে বিভিন্ন কাপড় পেঁচানো ও রং করা রয়েছে। গাছের গোড়ালিতে কাঠের কয়েকটি টুকরো দিয়ে ছোট্ট একটি খোপের মতো তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দুধ দেওয়া হয়। পাশেই রাখা একটি বক্সে রয়েছে মোমবাতি আগরবাতি ধূপ।

কালের প্রবাহে এই বট গাছটি কীভাবে মাজারে পরিণত হলো, তা জানা না থাকলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস এটির মধ্যে কোনো অলৌকিক ক্ষমতা আছে। বটগাছের মাজারে মোমবাতি জ্বালাতে আসা খালেক মিয়া বলেন, ‘এটি একটি মাজার, কিন্তু আমি জানি না এটি কার মাজার। সবাই এই বটগাছকে সম্মান করে এবং সালাম দেয়। আমিও সকলের দেখাদেখি ভক্তি করেছি।’

হাসপাতালের পশ্চিম গেটে অবস্থানরত আনসার সদস্য বিপ্লব বলেন, এটি মুনাফিকদের মাজার। এখানে একজন লাল সালু পড়া খাদেম রয়েছেন। তারা বটগাছের পূজা করে। মাঝে মাঝে তারা বটগাছকে খাবারও দেয়। আবার খাবার দিয়ে আসার সময় উল্টো হয়ে হাটে।

স্থানীয় কিছু মানুষের বিশ্বাস এই বটগাছের কাছ থেকে আশীর্বাদ পেলে রোগমুক্তি লাভ করা যায়। যা ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধরনের বিশ্বাসের সত্যতা নেই। তবুও অনেক মানুষ আসেন এখানে। অনেকেই জটিল রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসার পর এই বটগাছের মাজারে এসে প্রার্থনা করেন।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, আশ্চর্যের বিষয় গাজীপুরের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের মধ্যে এটি কীভাবে থাকে। হাসপাতালের মধ্যে এ ধরনের কুসংস্কার কীভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত এটি ভেঙে দেওয়া।

কাউসার আহমেদ নামে একজন বলেন, এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষ কুসংস্কার ও মাজারের প্রতি ঝোঁক বেশি। তারমধ্যে জনবহুল হাসপাতালের মধ্যে এটি রয়েছে এটি ভাবতেই কেমন লাগে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে এখান হতে ঘুরে যাবে। পরে সুস্থ হয়ে বলবে সুস্থতার পেছনে রয়েছে এই বটগাছ ও মাজারের কারিশমা।

এ বিষয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এই বটগাছটা দীর্ঘদিনের। ভবন করার সময় এলাকাবাসীর চাওয়ায় জায়গাটি ফাঁকা রেখে ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানে সব ধর্মের লোক আসে। জানতে পেরেছি করব নেই সেখানে। তবে বটগাছ কেন্দ্র করে কারা মাজার গড়ে তুলেছে সেটি খোঁজ নিয়ে বের করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পোস্টাল ব্যালটে থাকছে না ৪ দলের প্রতীক

অপরাধ দমনে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

বাজারের অবিক্রিত মোবাইল ফোন নিয়ে বিশেষ বার্তা বিটিআরসির

ঢাবির চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

২০২৫ সালে গুগলে যে ১৫টি স্বাস্থ্য প্রশ্ন বেশি খুঁজেছেন ভারতীয়রা

ফেসবুকে রিচ কমে যাওয়ায় মিথ্যা ‘বিয়ে’র পোস্ট অভিনেতার

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় শঙ্কায় বিশ্বকাপে ১৯ দেশের অংশগ্রহণ

দেশে কোটিপতি বাড়ার কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৩ জানুয়ারি 

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিএনপি প্রার্থী শিমুল বিশ্বাস ও হাবিব

১০

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার ৩ আসামি কারাগারে

১১

প্রকল্প পাস হলে বাস্তবায়নের ধার ধারে না : পরিকল্পনা সচিব

১২

বেগম খালেদা জিয়া জাতির সম্পদ : খোকন

১৩

২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে জোকোভিচের চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী

১৪

সাবেক এমপি জয়সহ ৫ জনের ৮৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ  

১৫

২০২৬ সালের হজে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধের গুজব

১৬

সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমবাপ্পেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রিয়াল

১৭

৩৮ দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ জামায়াতের বিরুদ্ধে

১৮

পুলিশে বড় রদবদল

১৯

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের দুই গাড়িসহ ১৯০ শতাংশ জমি জব্দ

২০
X