মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দিন-রাত লোডশেডিং, গরমে ঘুম নেই মান্দাবাসীর

ছবি : কালবেলা
ছবি : কালবেলা

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দিন-রাত ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং যেন ঘুম কেড়ে নিয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দাদের। গত এক সপ্তাহ থেকে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে আড়াই ঘণ্টা লোডশেডিং করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ।

অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। এতে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। এমন অভিযোগ গ্রাহকদের।

জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওগাঁ-১ মান্দা জোনাল অফিসের ১৪টি ফিডারের আওতায় ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে ১৮-১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে আনলে ঘাটতি পূরণের জন্য একঘণ্টা পরপর লোডশেডিং শুরু হয়। এতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের এই লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া নিয়ে ট্রল শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই পোস্ট করে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।

উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মো. নাজিম আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম পর্যায়ে গেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও একটু স্বস্তি মিলছে না। সারা রাত থেমে থেমে লোডশেডিংয়ের পর সকালে যে একটু ঘুমাবেন তারও উপায় থাকছে না। আবার সকাল ৬টা থেকে ৭টার সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ এলেও একঘণ্টা থেকে আবার চলে যাচ্ছে।

চকসিদ্ধেশ্বরী গ্রামের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোছা. নাজমা বেগম বলেন, আমার মেয়েটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির দ্বিতীয় প্রান্তীক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এতে পড়াশোনা করতে বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে গরমে বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। আবার সকালে ঠিকমতো উঠতে না পারায় স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়।

পাঁজরভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমার দোকানে মূলত ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। বেশির ভাগই রাতে কাজ করতে হয়। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো সময় নেই। এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করা হলেও এর পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওগাঁ-১ মান্দা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শামীম পারভেজ কালবেলাকে বলেন, ৮০ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন গড়ে ১৮-১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকলেও এখন অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করে ঘাটতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না 

শীত আরও বাড়বে কিনা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

নওগাঁয় শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে 

জুলাই আন্দোলনে আহত না হয়েও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন যুবক

চিড়িয়াখানায় সিংহের কাছে গিয়ে প্রাণ হারাল কিশোর

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনসিপির সদস্য সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

ইতিহাস বদলে দিল বাংলাদেশ, যা আগে কখনো ঘটেনি

মেহেদির রং না শুকাতেই নববধূ ইলমা বিধবা

১০

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাকে শোকজ

১১

ভেজাল গুড় খেলেই হতে পারে যেসব জটিল রোগ

১২

শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু ৪১০, নিখোঁজ ৩৩৬

১৩

বেগম জিয়ার অসুস্থতা হাসিনার কারণেই : রিজভী

১৪

সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন বিএসএফের

১৫

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা 

১৬

পর্তুগালের জালে এক হালি গোল দিয়েও মন ভরেনি ব্রাজিলের

১৭

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৮

সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির ২ নেতাকে অব্যাহতি

১৯

‘আমি আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হবো?’—প্রশ্ন বিজয়ের

২০
X