নাটোরে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সেলিম, শরীফ এবং মনির নামের তিনজনের প্রত্যেককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম, একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরীফ এবং আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেলিম, শরীফ এবং মনির। পরে তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে যাতে কারো কাছে এ কথা বলতে না পারে এজন্য তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে মরদেহ গুম করে মাটিতে পুঁতে রাখে তারা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১ জুন নাটোর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা জিডির ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১৭ জুন পুলিশ ওই এলাকার একটি আখক্ষেত থেকে ভিকটিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে অপহরণ, ধর্ষণ এবং গুমের সঙ্গে ওই তিনজনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন শেষে আট বছর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সেলিম শরীফ ও মনিরের একটি ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন ও পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। অন্য একটি ধারায় ১৪ বছরের সাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় ৩ আসামের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মন্তব্য করুন