পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে জোড়পুল ব্রিজের কাজ দুই বছর আগে শেষ হলেও নেই ব্রিজে উঠার সংযোগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাঁশবাড়িয়া ও বহরমপুর দুই ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটির দক্ষিণ পাশে কয়েক দিন আগে বালু দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে। আর উত্তর পাশে কাঠের সাঁকো। স্কুলশিক্ষার্থী, বয়স্ক ও শিশুসহ সাধারণ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন কাঠের সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বহরম ইউনিয়নের মানুষের দশমিনা সদরে কাজে যাওয়ার জন্য এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এই ইউনিয়নের কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণে বিপাকে পড়েন। এ ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসাসেবা সম্ভব হয় না। অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।
অটোচালক হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হঠাৎ প্রসব ব্যথা উঠলে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়া যাচ্ছে না। কাঁধে করে সেতু পার করতে হয়।
নেহালগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুঁই বলেন, বর্ষা মৌসুমে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। মাঝেমধ্যে সেতু থেকে নামার সময় পিছলে পড়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, অনেক দিন ধরে দুর্ভোগে আছে এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষকে সরকার মানুষ মনে করে না। মূল সেতু হয়ে গেছে অনেক দিন হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। কখন কার হাত-পা ভাঙে সবসময় সে ভয়ে থাকতে হয়। অভিযোগ করার কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
দশমিনা উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, দুই বছর আগে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতুর একপাশে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে।
মন্তব্য করুন