চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১১ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংককে সাবেক মেয়রের ‘নাকানিচুবানি’

অভিযুক্ত সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রথম ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকা ঋণ দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি। সেই ঋণ এখন সুদসহ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা।

জাতীয় পার্টির এই নেতার কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বহু চেষ্টা করে কানাকড়ি টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ব্যাংকটি। শেষে আদালতের শরণাপন্ন হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। করা হয় মামলা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এক আদেশে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের নামে এই টাকা ঋণ নেন চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর টাকা পরিশোধের বহু তারিখ দিলেও তা পরিশোধ করেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকার ওপর আদায় কালতক ১২ শতাংশ হারে সুদের ডিক্রি হয়। ডিক্রির টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তাও পরিশোধ করেননি তিনি। পরে ৮ জুলাই তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা আদায়ের দাবিতে জারি মামলা করা হয়।

অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রোজাউল করিম কালবেলাকে বলেন, মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ কিংবা সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, কারোরই ঋণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা সহায়ক জামানত ছিল না। তাই দায় সমন্বয়ের জন্য নিলাম কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ডিক্রিদার ব্যাংক হলফনামাসহ অর্থঋণ আইনে ৩৪ ও ৩৫ ধারা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

তিনি আরও বলেন, এই মামলা করার প্রায় দুই বছর অতিক্রম হলেও তারা ব্যাংককে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। যে কারণে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া তা কার্যকর করতে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।

জানা যায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে ১৯৮৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।

এসব বিষয় নিয়ে জানতে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতীয় রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্নে

আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মশাল মিছিল

ভারতের আরেক অঞ্চলে বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা

দক্ষিণ-পশ্চিমে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি

আ.লীগ যেভাবে লুট করেছে চিন্তাও করা যায় না : মির্জা ফখরুল

বগুড়ায় সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

আনিসুল-মেনন-ইনু-পলক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 

মালয়েশিয়ায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’

যুবদল নেতা শামীম হত্যা / মহিলা লীগের রোকেয়া ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল রিমান্ডে

১০

এরদোয়ানের সমালোচনা করায় ৯ তরুণ কারাগারে

১১

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে

১২

বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

১৩

কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চান ট্রাম্প!

১৪

পরকীয়া করতে গিয়ে স্বামীর লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর

১৫

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে মাহফুজ আলমের স্ট্যাটাস

১৬

তাপমাত্রা বাড়বে না কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

দালাল না ধরলে পাসপোর্ট পেতে চরম ভোগান্তি!

১৮

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

১৯

চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনতাই

২০
X