খুলনার বাজারে এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই বাজার দর উঠতে শুরু করে।
খুলনার বড় বাজার, নকুন বাজার, মিস্ক্রীপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) তা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভরতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। আজ তা কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খুলনা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সাজাহান বলেন, ‘যেমন দামে আমরা কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। পাইকাররা দাম বাড়ালে আমরা কী করব।’
স্থানীয় এক পাইকারি দোকানের ব্যবসায়ী কাওসার জানান, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। কিন্তু তাদেরও বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে পাইকারিভাবেও দাম বেশি পড়ছে।
জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন থেকে কোনো পেঁয়াজ তাদের দেশের বাইরে রপ্তানি করতে হলে সরকারকে ৪০ শতাংশ শুল্ককর দিতে হবে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়তে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। যা ঘোষণার পর থেকেই কার্যকর হবে। শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
এ ঘোষণা প্রচারের পর রোববার (২০ আগস্ট) থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ যায়। ফলে সকাল থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা যখন বৃদ্ধি পায় তখন ভারত সরকার শুল্ক আরোপ করাসহ নানা উপায় বের করে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে করে আমদানিকারকরা অনেকটাই বিপাকে পড়ে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক উজ্জল বিশ্বাস বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক কর আরোপ করায় আমরা আমদানিকারকরা এই পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
মন্তব্য করুন