চাঁদপুর শহরের তালতলাস্থ সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছেন বসবাসকারীরা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের বসবাসকারীরা কালবেলাকে নিজেদের আতঙ্কের কথা জানান।
তালতলা স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোবারক হোসেন কালবেলাকে বলেন, এখানকার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার যেন এক ভূতুড়ে এলাকা। নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ নেই। ফলে যারা থাকে তারা নিজেদের মতো করে বাসার ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। তার ওপর এখানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আশপাশের খালি স্থানে আবর্জনা ও ভয়ঙ্কর কীটপতঙ্গের আতুড়ঘরে পরিণত হওয়ায় এটি এখন ডেঙ্গু উৎপাদনের কারখানায় রূপ নিয়েছে।
স্টাফ কোয়ার্টারে থাকা শাহানা আক্তার বলেন, এখানে ঘন ঝোপ-জঙ্গলে ভরপুর এবং ভয়ঙ্কর সব কীটপতঙ্গ প্রায়ই বিছানার ওপর দিয়ে পর্যন্ত চলাচল করে। রাত্রিকালীন আলোর ব্যবস্থা না থাকায় এগুলো নিয়ে মনে এক রকমের ভয় কাজ করে। তার ওপর জেলাজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এখানকার চারপাশ মশা উৎপাদনের উর্বর ভূমি হওয়ায় আমরাও ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছি। তাই এসব বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চাঁদপুর জেলা গণপূর্ত বিভাগের এক তথ্যে দেখা যায়, এক থেকে পাঁচ নামে তালতলায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সরকারি স্টাফদের বসবাসের জন্য ৫টি আলাদা বাসভবন রয়েছে। যেখানের বাসভবনগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় এগুলো অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণার দাবি উঠেছে।
এসব বিষয়ে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রকিবুর রহমান বলেন, তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের স্টাফ কোয়ার্টার খালি পড়ে থাকলেও কেউ আসতে চাচ্ছে না। এগুলো সব ৬০ এর দশকে নির্মাণ করা অর্থাৎ প্রতিটি ভবনের বয়স ৭০ এর ওপরে হবে। ৫টার মধ্যে ২টা একেবারেই জড়াজীর্ণ হওয়ায় আমরা এগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্যও আলাপ আলোচনা করছি। নিরাপত্তার জন্য ওখানে যারা থাকেন তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কাউকে নিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতি মাসে মশার স্প্রে ছিটানোসহ এগুলো পরিষ্কার পরিছন্ন করাচ্ছি। আলো এবং ড্রেনেজের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। তবে ভবনগুলোর স্ট্রাকচারের দিক দিয়ে কোনো সমস্যা না থাকায় এগুলো এখনই ভাঙ্গার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে অদূর ভবিষ্যতে এখানে ফিমেল ডরমেটরি ও এডমিন কোয়ার্টার করার প্রস্তাবনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন