

নরসিংদীতে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর কাঠ বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আমির হোসেন সাদ্দাম (৩০)।
অভিযুক্ত মেহেদী সরকার (৩৭) সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের ওমর মিয়ার ছেলে ও হাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আমির হোসেন সাদ্দাম বলেন, তিনি হাজীপুর কাঠ বাজারে ফার্নিচার ব্যবসা করেন। গত ২৫ মার্চ রাতে ফোন করে হাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী সরকার তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির মুখে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছেন না ওই ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৪ এপ্রিল রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনসার ক্যাম্পের সামনে সহযোগীদের নিয়ে আমির হোসেনের পথরোধ করেন মেহেদী সরকার। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হলে তার কারণ জানতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান মেহেদী। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা ছুরি বের করে আমির হোসেনকে কোপ দেন মেহেদী। এ সময় মেহেদীর সহযোগীরাও তাকে মাথায় মারধর করতে থাকেন। পরে আমিরের মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে সঙ্গে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান হামলাকারীরা। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আমির হোসেনকে উদ্ধার করে স্বজনরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মামলা নথিভুক্ত না হওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মেহেদী সরকার বলেন, মূলত আমির হোসেন সাদ্দাম এবং ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি জামাল উদ্দিনের পারিবারিক বিরোধের জেরে মারামারি হয়। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কেন সে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া আমি যদি চাঁদা দাবি করে থাকি তা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণ করা হোক।
এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন