দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে জেলাটিতে। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৩৩ থেকে ২৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সূর্যের তীব্র তেজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। গরম থেকে একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজে ফিরছেন পথচারী মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় কয়েকজন দিনমজুর জানান, গত দুই দিন অসহনীয় গরম পড়ছে। আজ রোদের তীব্রতা অনেক। খুব কষ্ট হচ্ছে কাজ করতে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে শরীর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় বিচ্ছিন্নভাবে দু-একদিন হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও তাতে গরম কমার মতো কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েক দিন এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ১৪ মের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন