কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় সালিশি বৈঠক শেষে পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বরকোটা গ্রামে বরকোটা পোস্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল (২৯) বিটেশ্বর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে। সে বিটেশ্বর বাজারে কসাইয়ের কাজ করত। তার চাচাতো ভাইয়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সালিশ বৈঠকে ছিল সে।
গ্রেপ্তার মো. জাকির হোসেন বরকোটা (নোয়াপাড়া) গ্রামের মৃত নৈবর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৪ মে) মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেলে উভয়কে নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে বিটেস্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সালিশ বৈঠকের শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, বরকোটা এলাকার মোটরসাইকেলচালক এবং বিটেশ্বর এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের মধ্যে গত বুধবার (১৪ মে) ঝগড়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা সালিশ করি। সালিশে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের চিকিৎসাবাবদ মোটরসাইকেল চালককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে তা মেনে নিয়ে তিনি এক হাজার টাকা জমা দেন। দুদিন পর বাকি টাকা পরিশোধ করবে বলে সালিশ দরবার সমাপ্ত করে সন্ধ্যায় আমরা চলে যাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দরবার শেষে বরকোটার কয়েকজন গালাগাল করছিল, তখন শাকিল তাদের বলে ‘দরবারে যা হয়েছে সবাই মানছে, এখন গালাগাল করে কী হবে’। এটা বলার কারণে কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারে এবং ছুরি দিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি পথে মারা যান।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, বিটেশ্বর এলাকায় সালিশ বৈঠক শেষে মারামারির ঘটনায় শাকিল নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন