পঞ্চগড়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০২ জুন) দুপুরে পঞ্চগড়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক কামরুজ্জামান এ কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সফিকুল ইসলাম বোদা উপজেলার কাজলদিঘী তরঙ্গীপাড়া এলাকার হামেদ আলীর ছেলে। অপর ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৬/১৭ বছর আগে সফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু স্বামী সফিকুল প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।
এ বিষয়ে একাধিক সালিশ হলেও মমতাজের ওপর নির্যাতন চলে। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই রাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। এ সময় মমতাজকে হত্যার হুমকিও দেয় তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। পরেরদিন ৯ জুলাই ভোরে নিজ ঘরে মমতাজের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং বোদা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
১৪ জুলাই ১১ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহত গৃহবধূ মমতাজের বাবা আব্দুল মান্নান। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় ১০ বছর বিচারকাজ চলার পর সোমবার আদালত রায় দিয়েছেন।
পঞ্চগড় আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ইয়াসিনুল হক দুলাল বলেন, ভিকটিমের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা বলা হয়েছে। আমরা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আদালত ১ নম্বর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন