নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা এক নারীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
শুক্রবার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিতারা বেগম (৭০) একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সিতারা তার এক ছেলের সঙ্গে সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকায় বসবাস করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন তার কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তার ঘরে যান এবং ভেতরে সিতারার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনা শুনে লোকজন গিয়ে দেখে টিনশেড ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সিতারা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চিনে ফেলায় ওই নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে নোমান কালবেলাকে বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মা বাড়িতে একা থাকত। সে প্রতিদিনের মতো রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাত আনুমানিক ৪টার দিকে এক বা একাধিক চোর তাদের বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে। সম্ভবত এ সময় চোর ঘরে ঢোকার শব্দ শুনে আমার মা জেগে উঠে চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা অস্ত্র দিয়ে জবাই করে পালিয়ে যায়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে ওই বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় পরিবার ও এলাকাবাসীর ভিতরে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার এবং সমাজের সচেতন মহল।
ওসি মোরশেদ আলম বলেন, ক্রাইমসিন ও সিআইডির কাজ শেষ হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন