সাভারের আমিনবাজার এলাকার বড়দেশিসহ আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে গত ১২ দিন ধরে গ্যাস নেই। এতে রান্না থেকে শুরু করে পরিবহন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। লাকড়ি দিয়ে চুলায় রান্না কিংবা হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভরসা করে চলছেন স্থানীয়রা।
গ্যাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন নারী ও শিশুরা। বড়দেশি গ্রামের গৃহিণী ডালিয়া বেগম বলেন, ‘১২ দিন ধরে গ্যাস নেই, সকাল-বিকেল লাকড়ি কুড়াতে হচ্ছে, রান্না করতে গিয়ে ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে।’
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গ্যাস লাইনের একটি স্থানে লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘রান্না করতে পারি না, হোটেলে খাওয়া অনেক খরচের। এমন কষ্ট আর কতদিন?’
শুধু ঘরোয়া জীবনে নয়, গ্যাস সংকটে থমকে গেছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও ছোট ছোট ব্যবসাও। এক সিএনজি স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘গ্যাস না থাকায় স্টেশন পুরোপুরি বন্ধ। এতে আমাদের যেমন ক্ষতি, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরাও।’
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, মেরামত কাজ শুরু হলেও সমস্যায় পড়েছেন তারা। কারণ, লিকেজ স্থানে প্রচুর বালু ও লোডশেডিংয়ের কারণে মেশিন চালাতে পারছেন না ঠিকঠাক। এতে কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে।
তবে আশার কথা জানালেন তিতাসের এক কর্মকর্তা। ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রিফাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিকভাবে না থাকায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন না হয়—সেই দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন