রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সহায়তায় গত জুন মাসে উদ্ধারকৃত ১৪৫টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও আরএমপির বিভিন্ন থানা এসব হারানো ফোন উদ্ধার করেছে।
বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুরে আরএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এসব ফোন প্রকৃত মালিকদের মাঝে হস্তান্তর করেন।
আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সদা তৎপর রয়েছে। এই দায়িত্বের পাশাপাশি আমরা প্রতিনিয়ত হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে থাকি। এই মোবাইল ফোনগুলো শুধু রাজশাহী মহানগরী এলাকার নয়, দেশের অন্যান্য জেলারও উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অনেক প্রতারকচক্র চুরি হওয়া বা অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। পুরাতন মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই মোবাইলের মূল বক্স এবং বক্সে থাকা IMEI নম্বর, সিরিয়াল নম্বর এবং ফোনের অন্যান্য তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। তবে বিক্রেতার পরিচয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত প্রমাণ (রিসিট বা লিখিত দলিল) সংগ্রহ করে পুরাতন মোবাইল ক্রয় করা যেতে পারে। মোবাইল ফোন উদ্ধার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান আরএমপি কমিশনার।
এ ছাড়াও যেকোনো তথ্য, সমস্যা বা আইনগত সেবা নিতে আরএমপির তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর (টেলিফোন: +৮৮০২৫৮৮৮০১৩৫১, মোবাইল: ০১৩২০০৬৩৯৯৯) এবং সাইবার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও সেবা পেতে যোগাযোগ: +৮৮০১৩২০-০৬১৯৯৯ (সাইবার হটলাইন) এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন আরএমপি প্রধান৷
মোবাইল ফোন ফেরত পাওয়া মালিকরা আরএমপির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং জনবান্ধব উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, পুলিশের এই উদ্যোগে শুধু তাদের হারানো সম্পদই ফিরে পেয়েছেন তা নয় বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে।
তারা আশা করেন, ভবিষ্যতেও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এ ধরনের মানবিক ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা অব্যাহত থাকবে।
এসব ফোন শুধু রাজশাহী মহানগরী নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট থানায় করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইলগুলো শনাক্ত ও উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন