বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আ.লীগ কার্যালয়ের উপর হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’

বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক ভাঙচুরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টি পরিষ্কার করছেন। ছবি : কালবেলা
বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক ভাঙচুরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টি পরিষ্কার করছেন। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্থানে নির্মাণ হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। যেটি গত বছর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।

গত বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক ভাঙচুরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টি পরিষ্কার করছেন। কাজ দেখাশোনা করছেন ঠিকাদারদের একজন সোহান আল মামুন। তিনি কালবেলাকে বলেন, গণপূর্তের এ কাজটি আমরা পেয়েছি। ৯ জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এ মাসের মধ্যেই কাজটি শেষ করতে চাই।

ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, সারা দেশে অভিন্ন বাজেটে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। আগামী ৫ আগস্টের আগে এ নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। ‘ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে’ এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আগামী ৫ আগস্ট এখানে ফুল দিয়ে জুলাই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) ইসরাত জাহান বলেন, স্থান নির্বাচনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে একটি কমিটি করা হয়। সেই কমিটি এ স্থানটিকে উপযুক্ত মনে করেছে। আর বাজেটের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগ বলতে পারবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ জেলার শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটির সর্বসম্মতিতে এ স্থানটি চূড়ান্ত হয়। এ মাসের মধ্যেই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শেষ হবে। ৫ আগস্ট আমরা সেখান ফুল দিয়ে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি যেখানে ছিল সেই জায়গাটির মালিকানা জেলা প্রশাসন। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের নামে ২৬ শতাংশ জমি একসনা বন্দোবস্তের ভিত্তিতে ইজারা নেন শামীম হক। পরে ওই জায়গাটি শেখ রাসেল স্কয়ার নামে পরিচিতি পায়।

শামীম হক পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই জায়গায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। এ কার্যালয়টি ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ ও আব্দুর রহমান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস, ডেকে আনছেন যেসব ক্ষতি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার

পুলিশ সদর দপ্তরের পর্যালোচনা / ছয় মাসে ২৭ হত্যার কোনোটিই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নয়

‘আঙুল তোলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন’

কিডনির সমস্যা আছে কি না জানবেন যেভাবে

৩ দলকে স্বেচ্ছাসেবক দলের হুঁশিয়ারি

আসিফ মাহমুদের প্রশ্ন / ‘নৌকা’ মার্কাটা কোন বিবেচনায় শিডিউলভুক্ত করতে পাঠালেন

হাসপাতালে ঢুকে রোগীকে মারধর, চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার হুমকি

ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে

ছাত্রদলের দুই নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা 

১০

এনসিপির সাড়া দেখে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : হান্নান মাসউদ

১১

জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা

১২

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১৩

কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা?

১৪

লিজের জমি ‘দখল’ নিতে মানববন্ধন

১৫

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে হবে : রুয়েট উপাচার্য

১৬

নখ-দন্তহীন উচ্চকক্ষ কোনো কাজে আসবে না : এবি পার্টি

১৭

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ বুধবার

১৮

সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা

১৯

‘বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে’

২০
X