কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে শ্যেন অ্যারেস্ট দেখিয়েছেন কিশোরগঞ্জের আদালত। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে পুলিশ পাহারায় কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলত-৫-এর বিচারক রাশিদুল আমিনের আদালতে তোলা হলে তাকে শ্যেন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ কারাগারের উদ্দেশে রাজশাহী কারাগার থেকে তাকে নিয়ে রওনা করা হয়। সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ কারাগারে পৌঁছান তিনি।
এ সময় আদালতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা আবু সাঈদ চাঁদকে দেখতে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর আইনজীবী দ্রুত বিচার আদালতের এপিপি আতিকুল হক বুলবুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলায় আজ কিশোরগঞ্জ আদালতে চাঁদকে তোলার তারিখ ধার্য ছিল। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) সদর কোর্টে আবু সাঈদ চাঁদের মামলার শুনানি হবে। আমরা জামিন আবেদন করব। আশা করি, আইন অনুযায়ী তাকে জামিন দেওয়া হবে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি ঘটনায় একটার বেশি মামলা হতে পারে না। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একই ঘটনায় ২৬টি মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের রোলিং আছে এক ব্যক্তিকে একাধিক মামলায় এক বিষয়ে গ্রেপ্তার দেখানো যায় না। কিন্তু এখন এটা মানা হচ্ছে না। প্রত্যেক জায়গাতেই নেওয়া হচ্ছে, রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে। বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ তিনি। ওনার একটি কিডনি ড্যামেজ। তার পরেও তাকে কোনো ধরনের আইনি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
মন্তব্য করুন