লালমনিরহাটে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মাদক কারবারি শান্ত রায়ের মরদেহ দুদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মোগলহাট ইউনিয়নের পাকার মাথা নামক এলাকার ধরলা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামের ছয়মাতার ঘাট সংলগ্ন ধরলা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
নিখোঁজ যুবক শান্ত রায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমণ্ডল গ্রামের বিনোদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার গোড়কমণ্ডল থেকে মোটরসাইকেলে করে মাদক পাচার করে লালমনিরহাটের দিকে আসছিল একটি চক্র। এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায় লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। দুপুরে নৌকাঘাট থেকে ওই ছয়মাথায় পৌঁছামাত্র তাদের ডিবি পুলিশ ধাওয়া দেয়। পরে মোটরসাইকেল ফেলে অমল চন্দ্র ও শান্ত রায় পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করে। আমল চন্দ্র (৩৫) মাটিতে পড়ে গেলে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
শান্ত দৌড়ে গিয়ে ধরলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে নিখোঁজ হয়। পরে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলে তল্লাশি করে চার কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। গাঁজাসহ অমলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ। পরে বিকেলে মামলা দিয়ে অমলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে দিনভর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও নিখোঁজ শান্ত রায়ের সন্ধান না পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। দুদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ শান্ত রায়ের মরদের উদ্ধার করে পুলিশ।
লালমনিরহাট গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাদ আহমেদ বলেন, ডিবির হাতে আটকের আগেই শান্ত নামের ওই যুবক পালিয়ে যায়। সে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে কি না তা আমরা তাৎক্ষণিক জানতে পরিনি। আমরা তাকে ধাওয়া দেইনি। নৌকাযোগে অনেক যাত্রী পাড়ে এসেছে; কিন্তু সে কেন পালাল।
তিনি আরও বলেন, মাদকসহ আটক ব্যক্তির তথ্যমতে পলাতক শান্তও তার সঙ্গী ছিল। সেও মাদক কারবারির চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে বিকেলে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় রাতভর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে ডিবি পুলিশ।
মন্তব্য করুন