কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জেরে মো. নজরুল ভূঁইয়া (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক নারী ও তার স্বামী। হত্যার পর মরদেহ চার টুকরো করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় প্রেমিকা স্মৃতি (২৭) ও তার স্বামী মো. হোসেন মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নজরুল ভূঁইয়া সাহাবৃদ্দি গ্রামের মো. হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে এবং পেশায় ট্রাক্টরচালক ছিলেন।
এদিকে হত্যার ৩ দিন পর শনিবার (০৯ আগস্ট) রাতে খিচুড়ি পাকিয়ে মিলাদ পড়ান হোসেন-স্মৃতি দম্পতি। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর গ্রামের দম্পতির নিজ বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৬ আগস্ট) রাতে নজরুল ভূঁইয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এ নিয়ে শুক্রবার (০৮ আগস্ট) তার বাবা হানিফ ভূঁইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ নিখোঁজ নজরুলের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রোববার (১০ আগস্ট) ভোরে অটোরিকশাচালক হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ চার টুকরো করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
তিতাস থানার ওসি শহিদ উল্লাহ বলেন, নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মন্তব্য করুন