খুলনায় জাতীয় পার্টি (জাপা) জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশি তৎপরতায় তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। হামলাকারীরা প্রধান ফটকের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তাদের ১৫ থেকে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা চলে যাওয়ার সময় সম্মুখ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু জানান, শনিবার সারাদিন আমরা অফিসেই ছিলাম। আসরের আগে অনেকেই পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে ৫০-৬০ জনের গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে এসে মারমুখী অবস্থান নেয়। তখন আমরা দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে ফটকগুলো তালাবদ্ধ করি। তারা গেট ভাঙার চেষ্টা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একটি গেট ভেঙে ফেললেও অন্যটি ভাঙতে পারেনি। তবে সাইনবোর্ড ভেঙে দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
হামলার বিষয়টি স্বীকার করে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক এস কে রাশেদ বলেন, জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে গেলে সেখানকার নেতাকর্মী ও পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫-২০ নেতাকর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলাম।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালবেলাকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল সহকারে জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসে। তারা বিশৃঙ্খলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। অফিসের সাইনবোর্ড ভাঙা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন