ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, বার্তা সংস্থা ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
নিহত আমিনুর রহমান টুকু দীর্ঘদিন জটিল মস্তিষ্ক রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট সাংবাদিক আমিনুর রহমান টুকু একটি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রোগামে উপস্থিত থাকা অবস্থায় ওয়াশরুমে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত ঢাকার আল-মানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে রাতে তার মস্তিস্কে জটিল অপারেশন করা হয়। তারপর থেকে তিনি আর জ্ঞান ফিরে পাননি। এরপর দীর্ঘ ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি আজ (সোমবার) মারা যান।
জানা গেছে, সোমবার রাতে ঝিনাইদহ উজির আলী হাই স্কুল মাঠে মরহুম সাংবাদিক আমিনুর রহমান টুকুর জানাজা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক টুকুর মৃত্যুর খবর ঝিনাইদহে পৌঁছালে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সাবেক সভাপতি এম রায়হান, সাইফুল মাবুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, আজাদ রহমান, ফয়সাল আহমেদ, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রকাশক আলহাজ শহিদুল ইসলাম সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।
সাংবাদিক আমিনুর রহমানের মৃত্যুতে অনুরূপভাবে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা জামায়াতের আমির আবু বকর মো. শাহজাহান, সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবু হুরায়রা, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা তারেক রহমান ও ঝিনাইদহ ফোরামের সভাপতি মহাব্বত হোসেন টিপু।
মন্তব্য করুন