মৌলভীবাজারে পিবিআইয়ের হাজতখানা থেকে মো. মকদ্দোছ মিয়া নামের এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ের হাজতখানা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মকদ্দোছ মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউশার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, কমলগঞ্জের নন্দগ্রামের লিটন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মকদ্দোছ মিয়া স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তের জন্য তাকে থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাজতে রাখা হয়। ভোরে হাজতখানায় ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পুলিশ। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
মৌলভীবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. জাফর হোসেন কালবেলাকে বলেন, আসামি মকদ্দোছ মিয়া নন্দগ্রামের লিটন হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি ছিলেন। অভিযুক্ত এক আসামি তার নাম জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে সে থানায় আত্মসমর্পণ করে। তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করলে তদন্তের জন্য পিবিআইতে আনা হয়। আজ ভোরে হাজতে আত্মহত্যা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, কমলগঞ্জের পতনউষারে গত ৯ আগস্ট লিটন নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মকদ্দোছ গা ঢাকা দেয়। লিটন হত্যার ঘটনায় শামিম নামে আরও একজন আসামিকে আটক করেছে পিবিআই। গত ১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা ছত্তার মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন