বয়স এখনো ২ বছর অতিক্রম করেনি। কথা ছিল দুচোখ ভরে বাবা-মাকে দেখবে। দেখবে অজানা অচেনা এই পৃথিবী। কিন্তু ভাগ্য কেড়ে নিয়েছে দেখার দৃষ্টিশক্তি। লাখ লাখ টাকা খরচ করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি একটি চোখ। শঙ্কা কাটেনি অন্যটিরও।
বলছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রাম পূর্ব মধ্যপাড়ার সাইফুল ইসলামের দেড় বছরের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম সাইফের কথা। জন্মের পরই সাইফের একটি চোখের মণি স্বাভাবিক ছিল না। পরবর্তীতে ৬ মাস বয়সে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জানতে পারেন ছেলে রেটিনা ব্লাস্টোমা অর্থাৎ চোখের ক্যানসারে আক্রান্ত।
দেশে চোখের রেটিনা ব্লাস্টোমার চিকিৎসার আশানুরূপ কোনো ফলাফল না পাওয়ায় ভারতে চিকিৎসা শুরু হয় শিশু সাইফের। এরপরও কিন্তু একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। অপারেশনের মাধ্যকে চোখটি ফেলে দেওয়া হয়। এখন অন্য চোখটি বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সাইফের বাবা-মা।
বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, রেটিনা ব্লাস্টোমা থেকে বাঁচাতে সাইফকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮টি কেমোথেরাপি দিতে হয়েছে। আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সাইফের একটি চোখের রেটিনা ব্লাস্টোমার প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। সর্বশেষ ধাপে আরও দুটি কেমোথেরাপি দিতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। সাইফের ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার খরচ জোগাতে ভিটেবাড়ি ছাড়া সব বিক্রি করেছেন তারা। এখন আর চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই তাদের। সর্বস্ব শেষ করে সন্তানের চোখের আলো ফোটাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ : সাইফুল ইসলাম ০১৮৮৪-৮০৩৫৬৪ (বিকাশ)।
মন্তব্য করুন