আল-আমিন অনিক, মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ছবি : কালবেলা
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল আবারও চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ দায়িত্বরত একমাত্র চিকিৎসক সুপ্রিয়া দাসের বদলির পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ কোনো রকমে চলছে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের ভরসায়।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ জুলাই আফরোজা আকবর নামে প্রথম চিকিৎসক পদায়নের মাধ্যমে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে ওই চিকিৎসক লাপাত্তা হয়ে যান। পরে ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে কখনো একজন, কখনো দুজন চিকিৎসক দিয়ে নামমাত্র সেবা চালু ছিল।

হাসপাতালটিতে চারজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও একজন মেডিকেল অফিসারসহ মোট ছয়টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোনো চিকিৎসকই কর্মরত নেই। কাগজপত্রে হাসপাতালটিতে ১৭ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও, ১২টি পদ শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন পাঁচজন, বাকি কর্মীদেরও অনেকেই প্রেষণে অন্যত্র যোগ দিয়েছেন।

বর্তমানে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ কোনোভাবে চালানো হচ্ছে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুয়াকাটায় যাওয়া পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, লতাচাপলীদিয়ার আমখোলা এলাকা থেকে আসা মমতাজ বেগম (৩৮) ফিরে যাচ্ছেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু নেই শুনে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে ফিরে যাবেন বলে ঠিক করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, হাসপাতালটি চালুর পর থেকে কখনোই পূর্ণাঙ্গ জনবল ছিল না। ফলে কুয়াকাটা পৌরসভা ও মহিপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এখন একজন চিকিৎসকও নেই।

আমরা কুয়াকাটাবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, কুয়াকাটা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। হাসপাতালটিতে দ্রুত পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়নসহ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শঙ্কর প্রসাদ অধিকারী জানান, কুয়াকাটাসহ উপজেলায় চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারকে জরুরি ও বহির্বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া কালবেলাকে জানান, একজন চিকিৎসক ছিলেন, যার গত মাসে বদলি হয়েছে। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পটকা ফুটানো নিয়ে রাতে সংঘর্ষে জড়াল দুই মহল্লার বাসিন্দারা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ যা জানা গেল

কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল-আমিনের সর্বশেষ অবস্থা

বিজয়ের মাস উদযাপনে ঢাবি প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ জাতীয় ছাত্রশক্তির

গুজবে কান না দিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করুন : ইশরাক

শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মনি গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফরিদপুরে কর্মসূচি

এখনো ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, ছাত্রত্ব বাতিল দুই শিক্ষার্থীর

‘চশমা’ প্রতীকে নির্বাচন করবে আট দলের শরিক জাগপা

১০

মানুষের অধিকারের প্রশ্নে খালেদা জিয়া সব সময় আপসহীন : মাসুদুজ্জামান

১১

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির ওমরাহ পালন

১২

সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না ভারতকে, সমতায় সিরিজ

১৩

মাদকাসক্ত ছেলের আগুনে পুড়ল বসতঘর

১৪

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালে চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

১৫

মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

১৬

শরীয়তপুরে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় মিলাদ ও দোয়া

১৭

পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের যে দাবি

১৮

সন্তানহারা মা কুকুরটিকে দেওয়া হলো দুটি নতুন ছানা

১৯

সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বিসিবি, থাকছেন জাতীয় দলের সাথেই

২০
X