

মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হচ্ছে জাটকা ইলিশ শিকারের ওপর ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রজনন সুরক্ষার লক্ষ্যে সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির নিচের সব ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, সংরক্ষণ ও মজুত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ আইন অমান্য করলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জাটকার অবরোধ সফল করতে প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান চলবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো।
তিনি জানান, অবরোধকালীন সময়ে জেলার নিবন্ধিত ৮৯ হাজার ৪৩ জন জেলেকে ৪ মাসের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হবে।
মহিপুর মাছ বন্দর এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, অবরোধের সময় ব্যবসায় একটু ক্ষতি হয়, তবে জাটকা না ধরলে ভবিষ্যতে বড় ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। সরকার যদি চালের পাশাপাশি নগদ সহায়তা দিত তাহলে জেলেরা আরও স্বস্তিতে থাকতে পারত।
একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী সালাম হাওলাদার বলেন, এ সময় আমাদের হিমঘর প্রায় ফাঁকা থাকে। তারপরও জাটকা রক্ষার জন্য আমরা সচেতনতা বাড়াচ্ছি।
লতাচাপলী ইউনিয়নের জেলে ইদ্রিস ফকির বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। তবে সরকার চাল দেয়, এতে কিছুটা সহায়তা হয়। পাশাপাশি কিছু নগদ টাকা দিলে আমরা ভালোভাবে চলতে পারতাম।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, জাটকা রক্ষায় আগামীকাল থেকেই সাগর ও নদীতে একযোগে অভিযান শুরু হবে।
মন্তব্য করুন