

চাঁদপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
রোববার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানান চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া।
তিনি জানান, এটি আত্মহত্যা নাকি তাকে কেউ মেরে এখানে ঝুলিয়ে রেখেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সব তথ্যের রহস্য উন্মোচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও হোটেলসহ আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হচ্ছে।
থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র বলছে, মৃত ওই যুবকের নাম মো. সালাউদ্দিন (৩০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছেলে। এখানে চাঁদপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ভাই ভাই আবাসিক হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। ওখানেই তিনি দোতলার একটি কক্ষে থাকতেন। তবে তিনি আবাসিক হোটেল ছাড়াও ভবনের নিচে একটি রেস্টুরেন্টেও কাজ করতেন।
রেস্টুরেন্টের কর্মচারী মো. লিমন জানান, কক্সবাজার থেকে বেড়িয়ে এসে সালাউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিন দিন আবাসিক হোটেল থেকে হোটেলের কাজে যোগ দেয়নি। শনিবার দুপুরে তার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় তাকে রান্নার কাজে ডাকতে গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ পায়। পরে সবাইকে খবর দিলে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রিন হোটেলের মালিক মো. রাসেল মিয়া জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় আবাসিক হোটেলের কক্ষে প্রবেশ করেন মো. সালাহউদ্দিন। তার সঙ্গে কারও কোনো বৈরী সম্পর্ক ছিল না। তার পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে থাকত।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ বাহার মিয়া জানান, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা বেঁধে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সালাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন