

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থী ও বাস-শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টার্মিনাল ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মো. তাজুল ইসলাম এবং জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোসারেফ হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ পুলিশ প্রশাসন একযোগে ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত বাস এবং কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখেন।
পরে টার্মিনাল ভবনে তারা এ নিয়ে বৈঠক করেন। যেখানে সমঝোতার পর সিদ্ধান্ত হয় অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস চলাচলের বিষয়ে। তবে বাস মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
বৈঠকে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সরকারি বন্ধের দিনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক বাস ভাড়া বাতিলের দাবি উঠলে তা কার্যকর হয়নি। অপরদিকে বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ৬টি সিট রাখার দাবিও রক্ষা হয়নি।
তবে শনিবার রাতের ঘটনায় ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপর উভয়পক্ষ সহমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে এজন্য উভয়পক্ষকেই সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠক শেষে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোসারেফ হোসেন বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে যেসব গাড়ি চলাচলের উপযোগী আছে তা আজই চালু করা হবে। বাকিগুলো মেরামতের পর সড়কে নামবে।
মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে থাকা শতাধিক বাস ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অগ্নিসংযোগ করা হয় নূর পরিবহন নামের একটি বাসে। পাশাপাশি ওইসময় হামলাকারীরা টার্মিনালের ভেতরে দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলো ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন অর্থাৎ রোববার বরিশাল থেকে সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তারা আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কাউন্টারগুলো মোটামুটি মেরামতের পর রোববার রাত থেকে কিছু সংখ্যক দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়। সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে চলে দূরপাল্লার বাস। তবে দূরপাল্লার যে বাসগুলো ভাঙচুর হয়েছে সেগুলো মেরামতের জন্য টার্মিনাল এলাকায় রাখা হয়েছে। তাছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলো মেরামত করতে পারেননি মালিকরা।
মন্তব্য করুন