জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এ বছর ৩৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব মণ্ডপে শনিবার (১৪ অক্টোবর) মহালয়া উদ্যাপন হচ্ছে। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। ইতিমধ্যে অধিকাংশ প্রতিমার মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করার কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা।
এবার পৌরসভায় ৮টি, রুকিন্দীপুর ইউনিয়নে ৭টি, সোনামুখী ইউনিয়নে ৩টি, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ১০টি, তিলকপুর ইউনিয়নে ৩টি, রায়কালী ইউনিয়নে ৭টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এসব মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে জানিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ আগরওয়ালা বলেন, ‘পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।’
আক্কেলপুর পৌর শহরের নবাবগঞ্জ ঘাট (পারঘার্টি) কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে কাজ করছেন বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিনগ্রামের শ্রী বিকাশ মালাকার। তিনি বলেন, এ বছর তিনি বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছেন। আকার ভেদে প্রতিটি প্রতিমার পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ২৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।
আক্কেলপুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী কমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০টি পরিবার বসবাস করি। দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দিরে পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। বিজয়া দশমীর দিন বিশাল মেলা বসে মন্দির প্রাঙ্গণে। আমাদের এই মন্দিরটি তুলসী গঙ্গা নদীসংলগ্ন হওয়ায় প্রতি বছর নৌকায় মা দুর্গাকে তুলে কয়েক কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যায় বিসর্জন দেওয়া হয়। এই সময় শত শত দর্শনার্থীরা নৌকায় ভ্রমণ ও উপভোগ করেন। প্রতি বছর জাঁকজমকভাবে পূজা উদযাপন করা হয়।’
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা বলেন, ‘বাঙালি জাতির মহোৎসব দুর্গাপূজা, যা আদিকাল থেকে সর্বজনীনভাবে পালন হয়ে আসছে। প্রতিটি ঘরে উৎসব পালন হয়।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে।’
মন্তব্য করুন