পদ্মায় মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় লিখন হোসেন (৩৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে তাকে কোপানো হয়।
নিহত লিখন হোসেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। তিনি বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। ছুটিতে বাড়ি এসে খুন হলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের নিচে (মরা) পদ্মার জলাশয়ে মাছ ছাড়েন লিখনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। একই গ্রামের বাচ্চু হোসেনের ছেলে নাফিজ হোসেন (৩৫) এই মাছ চাষে বাধা দেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। এর জের ধরে পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে লিখন হোসেনকে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে প্রতিপক্ষ নাফিজ কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় গুরুতর অবস্থায় এলাকার লোকজন লিখনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লিখনের মা হাসেনা বেগম জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। রোববার ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছেন। প্রতিবেশী বাচ্চুর ছেলে নাফিজ হোসেনের সাথে সোমবার দুপুরে পদ্মা নদীর ধারে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বাড়ির পাশে একা পেয়ে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে নাফিজ লিখনকে কুপিয়ে হত্যা করে। সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন এই মা।
এ বিষয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কিশোরপুর গ্রামের আবদুর কাদের মোল্লা বলেন, তারা পরস্পর প্রতিবেশী। লিখন হোসেনের কোনো জমি নেই। পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় সেই জলাশয়ে কিছুদিন আগে মাছ ছাড়ে সে। অপরদিকে পদ্মার ধারে নাসিফ হোসেনের জমি আছে দাবি করে সে জলাশয়ে মাছ চাষ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে খেজুরের গাছ ঝোড়া বাটাল দিয়ে লিখনকে নাফিজ হত্যা করেছে বলে শুনেছি।
বাঘা থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন