আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস আদালতে হাজির হয়েছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুনের আদালতে উপস্থিত হন তিনি। পরে তিনি সেখানে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সীগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক ফাহমিদা খাতুন লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
মৃণাল কান্তি দাস বলেন, নৌকায় মনোনীত হওয়ায় আমার নির্বাচনী এলাকায় আসি। সাধারণ মানুষ আবেগাপ্লুত হয়ে আমাকে স্বাগত জানাতে আসে। আমি বরাবরের মতো নির্বাচন কমিশনের আইনকানুন ও নির্বাচনের আচরণবিধি বিষয়ে সচেতন ছিলাম। আমি জনতার ভিড় উপেক্ষা করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এটা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন, এখন এটার উপযুক্ত সময় নয়।
তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমি আমার লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়ে গেলাম। তাতে উল্লখ করেছি যে, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত অনভিপ্রেত।
কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস গত ২৭ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরে গোলচত্বর এলাকায় সভা-সমাবেশ করেন। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোভাযাত্রা করেন। এ সময় শত শত নেতাকর্মী সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হয়। এতে মুন্সীগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ওই বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসমূহ বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়েছে, মৃণাল কান্তি দাস উক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।
মন্তব্য করুন