সিরাজগঞ্জে বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। জেলার ৬টি আসনে ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ৯ জনের প্রার্থীতাই বাতিল ঘোষণা হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মনোনয়ন বৈধ হয়।
রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬টি আসনে ৪৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে দুদিন বাছাই শেষে ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ও ৩০ জনের বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল হওয়া প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনই স্বতন্ত্র। এর মধ্যে সাতজনই আওয়ামী লীগের। বাকি দুজন নির্দলীয় স্বতন্ত্র। বিধি অনুযায়ী হলফনামার সাথে শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকার কারণেই এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে গোলাম মোস্তাফা তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে শরিফুল আলম খন্দকার, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আব্দুল হালিম খান দুলাল ও স্বপন কুমার রায়, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে হালিমুল হক মিরু। বাতিল হওয়া অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে নুরুল ইসলাম ও মোজাফফর হোসেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র দুজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। এরা হলেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বাতিল হওয়া দলীয় প্রার্থীরা হলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে মুক্তিজোটের প্রার্থী নুরুল ইসলাম প্রামাণিক ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে ওয়ার্কাস পার্টির রেজাউর রশিদ খান।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ১% ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তবে মনোনয়ন বাতিল হলেও তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন