নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদের (গামা) নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মৈনম বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলাম সরদার, শামসুল ইসলাম ও এ বি এম হাসান রিপু। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আলাম সরদার ও সামসুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এ বি এম হাসান মান্দা উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ব্রহানী সুলতান মামুদের অনুসারী নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলার মৈনম বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মালিকানাধীন মার্কেটের একটি ঘরে তার প্রধান নির্বাচনী অফিস করা হয়েছে। শনিবার নির্বাচনী প্রচার কাজ শুরুর আগে ওই অফিসে ব্রহানী সুলতান মামুদ ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা আল আমিন, আশিকুর রহমান ও জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের অনুসারী ৫০-৬০ ব্যক্তি ব্রহানী সুলতান মামুদের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মামুদের নির্বাচনী অফিস ও তার মালিকানাধীন মার্কেটের একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালায়। নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর একাধিক সমর্থক আহত হন। আতদের উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আলাম সরদার ও সামসুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদের অভিযোগ, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ সন্ত্রাসী বাহিনী নামিয়ে তার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার কোথাও না কোথাও তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে নৌকার প্রার্থীর অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল রাতেও মৈনম বাজার এলাকায় আব্দুস সালাম নামে তার এক কর্মীকে মারধর করা হয়। এর আগে পিড়াকৈ এলাকায় আরেক কর্মীকে মারধর করা হয়। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের অনুসারী ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মণ্ডল জানান, নৌকার সমর্থকরা আচরণবিধি মেনে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে মামলা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন