বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান শ্যামলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার ওপর হামলা হয়।
ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শ্যামল অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীকের কর্মী সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবীন আনোয়ার কমরেডের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এ সময় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় তিনজন কর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
শ্যামল জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রানীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা নবীন আনোয়ার কমরেডের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন অতর্কিত হামলা করে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি ছাড়াও তার ছেলে ইয়ালিদ বিন রহমান, ভাতিজা সামছুজ্জোহা বিপ্লব ও বদরুদ্দোজা জিপু আহত হন। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া কমরেড বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রভাব বিস্তার করে চলছেন।
হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে নবীন আনোয়ার কমরেড বলেন, ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার কলার চেপে ধরেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সামিউল আলম বলেন, আমার সঙ্গে কোনো প্রার্থী খারাপ আচরণ করেননি। ভোটকেন্দ্রে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, কমরেড নামের ওই ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। তাকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন